হায় ভগবান নিউ বখখালীর নাম শোনেন নি ? বলেন কি মশাই ধুর। অরে রাখুন। আমি বলি শুনুন। এই যে তোতন। ওর নাকি জামাই এর বাড়ি উকিলের হাট এ। মানে ওই কাকদ্বীপ এর পরে কাকদ্বীপ এ আমার মামার আইস ফ্যাক্টরি আছে তাই উকিলের হাট আমি চিনি। বুধবার অফিস থেকে একটু তাড়াতাড়ি রেহাই পেলুম। বস কে রীতিমতো ফাঁকি মেরে বেরুলুম। সখেরবাজার এ যেতেই সটাং একটা শাটল। অরে তোতন কার মুখ দেখে ঊঠেছিলি? সরিষা সরিষা বলতে আমরা পড়লুম উঠে। দাদা কত পর্যন্ত ? “আমি কাকদ্বীপ যাবো ” অরে তোতন কেল্লা ফতে …….দাদা কত ? ওই দুজনে ৬০০ দেবেন ? অরে না কেno চলুন।উঠে বসলুম সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হলো তোতন এর নাসিকা গর্জন। কেন বা করবে না সারাদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনি থেকে বস এর থেকে একদিন এর মুক্তি জোকা ছাড়িয়ে আমতলা পেরোতেই উফফ পাগল। একদম প্রাকৃতিক দৃশ্য। মন ভরানো হাওয়া। বুক ভোরে নিঃশাস নিতে নিতে চললুম। .ভাই তোর নাম কি কি করিস ? ” আজান আমার নাম ” . আচ্ছা। তা একটু দাঁড়া না চা খাবো আর একটু ইয়ে পেয়েছে. উফফ প্রকৃতির বুকে প্রাণ ভোরে খালি করলুম। এ যেন অজানা মজা। আজান আমাদের আড়াই ঘন্টায় পৌঁছে দিলো উকিলেরহাট। কাকদ্বীপ থেকে কিছুটা দূরে কিন্তু আজান আমাদের থেকে এক্সট্রা পয়সা নিলো না। ধন্যবাদ দিয়ে চললুম জামাই দের বাড়ির দিকে।
কি খাবেন ? বোনের কচু শাক ?পুকুরের মাছ ? গরুর দুধ ? নাকি দিশি মুরগির ডিম্ না হাঁসের ডিম। সব আছে সঙ্গে আরো কত কিছু। রাতে আমরা দিশি মুরগি আর রুটি খেয়ে শুতে গেলুম। তোতনের জামাই বললো কাল হবে মজা।
কিচির মিচির সঙ্গে মোরোগের ডাকে আর গরুর ডাকে ভোর ভোর ঘুম ভাঙলো। জামাই বললো এই পথ ধরে হাঁটতে থাকো কেমন লাগে দেখো। হাঁটতে শুরে করলুম পথে অনেক কিছুই পেলুম। পানের বরজ সঙ্গে গ্রাম্য পরিবেশ। মনে মনে ভাবছি আমরা কোথায় আছি। চারিদিকে বিষ আর এখানে চারিধারে প্রাণ। ফ্রেশ ঝলমলে পরিবেশ। মন খোলা মানুষ। এই ভাবে অনেকটা গিয়ে পৌঁছোলুম নিউ বকখালি। চটি খুলে হাঁটতে হাঁটতে জঙ্গল এর মদ্ধে দিয়ে পৌঁছোলুম নিউ বকখালি।
কিভাবে যাবেন
এই জায়গাটি আপনারা যারা বকখালি যাবেন তারা অনায়াসেই যেতে পারেন। বাস এ গেলে নামতে হবে উকিলের হাট. গাড়িতেও উকিলের হাট এর হাফ কিলোমিটার আগে দেন দিকে রাস্তা ধরতে হবে ট্রেন এ গেলে নামখানায় নামতে হবে ওখান থেকে রোড এ এসে কাকদ্বীপ এর দিকে হাফ কিলোমিটার এর মতো হাঁটলেই বা দিকে পাবেন নিউ বকখালি। ধন্যবাদ।
SOURCE: facebook.com